হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আগে থেকে অনেকটাই সুস্থ হওয়ায় ও তার সমস্ত রিপোর্ট সন্তোষজনক হওয়ায় বুধবার দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল (উডল্যান্ডস) থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে সোজা বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
আপাতত আগামী ১ মাস বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউর ফ্ল্যাটেই হোম কেয়ারে থাকবেন বুদ্ধদেব। অর্থাৎ বাড়িতেই চিকিৎসকদের কড়া নজরে থাকবেন তিনি। বাড়িতেই চলবে ফিজিওথেরাপিও।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এদিন সকালেই হাসপাতালে চলে আসেন তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান এতদিন যে মানুষগুলো বুদ্ধদেব বাবুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, তাদের সকলকেই আন্তরিক শুভেচ্ছা। উনি যাতে বাড়িতে গিয়েও সুস্থ থাকতে পারেন তার কামনা করুন।’
প্রবল শ্বাসকষ্ট সহ আরো নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ২৯ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন সিনিয়র এই সিপিআইএম নেতা। সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। তাকে সুস্থ করে তোলাটা চিকিৎসকদের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জিং ছিল। রাইলস টিউব পড়ানো থাকলেও মুখ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
গত প্রায় ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে ‘ক্রনিক অবস্ট্রকটিভ পালমোনারি ডিজিজ’ (সিওপিডি) সমস্যায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী এই ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তার উপরে রয়েছে বার্ধক্য জনিত নানা সমস্যাও।
গত ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই সিনিয়র বাম নেতা। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে প্রবল অনীহার কারণে বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলে।
উল্লেখ্য ২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অসুস্থতার কারণেই ২০১৮ সালে সিপিআইএম পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাজ্য কমিটি থেকে সরে যান।