ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম এখন চাঁদের মাটিতে অবস্থান করছে। সেখানে নিজের কাজ শেষ করে ল্যান্ডার বিক্রমের ভেতরে আবারও আশ্রয় নিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। এরই মধ্যে চাঁদে একাধিক খনিজের অস্তিত্বের সন্ধান দিয়েছে প্রজ্ঞান। আলোক স্বল্পতার কারণে ব্যাটারি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই, আপাতত ঘুমিয়ে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। এবার সেটিকে খুঁজে পেল নাসার লুনার অরবিটার (এলআরও)। এরই মধ্যে সেই ছবি পাঠিয়েছে নাসার স্যাটেলাইট।
গত ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। তারপর বিক্রমের ভেতর থেকে বেরিয়ে চাঁদের মাটিতে হাঁটাহাঁটির সঙ্গেই তাকে দেওয়া খোঁজখবরের কাজ করেছে প্রজ্ঞান। নাসার অরবিটার বিক্রমের যে ছবি তুলেছে সেটি হল- ২৭ আগস্টের। ওই ছবির চারপাশে দেখা যাচ্ছে একটি আলোকিত অংশ। নাসার বক্তব্য ওই আলোকিত অংশ হল- রকেট থেকে বের হওয়া ধোঁয়া ও চাঁদের মাটির ধুলা।
নাসার এই লুনার অরবিটারের নাম এলআরও। এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় মেরিল্যান্ডে গডড্রাড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে বিক্রমের অস্তিত্বের কথা।
অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার বিক্রমের থ্রি ডাইমেনশনাল ছবি প্রকাশ করেছে ইসরো। ইসরোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী চাঁদের অন্ধকার ও প্রবল ঠাণ্ডায় আপাতত ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। আবার ২২ সেপ্টেম্বর সেটিকে জাগিয়ে তেলার চেষ্টা হবে। তাতে যদি প্রজ্ঞান সাড়া দেয় তাহলে ফের কাজ শুরু করবে প্রজ্ঞান।
ইসরোর পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সোলার ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়বে বিক্রম। প্রজ্ঞান থাকবে তার ভেতরে। তবে ল্যান্ডারের রিসিভারগুলো অন থাকবে। আশা করা যাচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর ফের তা জেগে উঠবে। রাতে চাঁদের তাপমাত্রা হয়ে যায় মাইনাস ২০০ ডিগ্রি। এমন তাপমাত্রায় বিক্রমের পে লোডগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সেগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস